জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের পর ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানোর মামলার আসামি জাহিদুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার টাওয়ার মার্কেট এলাকাস্থ মো: খোকন এর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি সরিষাবাড়ি উপজেলার নাথেরপাড়া আওনা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো: নাজমুস সাকিবের তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ আসাদুজ্জামান, মো: আতিকুর রহমান এবং মো: আব্দুল্লাহ আল আজাদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বছরের ১২ আগস্ট সরিষাবাড়ি থানায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে একটি দায়ের করা করেন। মামলায় বলা হয় তার কন্যা ১৪ বছরের নাবালিকাকে প্রতিবেশী মো: জাহিদুল (২৩) ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নির্মাণাধীন ভবনের ভিতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দেয়। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা তার ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ৭ মাস পর ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জাহিদুলকে জানালে গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। সুকৌশলে ধর্ষক তার বোন সুবর্না (১৭) কে দিয়ে গর্ভপাত করার ঔষধসহ তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওষুধ সেবনের পর গত ১১ এপ্রিল সকাল ৯টায় কিশোরী গর্ভপাত হলে মৃত ছেলে সন্তান দেন।
গর্ভপাতের পর কিশোরী অসুস্থ হলে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিশোরী সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাজমুস সাকিব বলেন, গ্রেফতারকৃত জাহিদুলকে সরিষাবাড়ি থানায় পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি বলেন, জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে মামলাটি দ্রুত সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল কাজ শেষ করা হবে।