ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চমেকে দীর্ঘ চার বছর পর সচল হচ্ছে এমআরআই মেশিন

চমেকে দীর্ঘ চার বছর পর সচল হচ্ছে এমআরআই মেশিন

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের স্বাস্থ্যসেবার শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল (চমেক)'কে বিবেচনা করা যায়। এই চমেকে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসাপ্রার্থীরা সেবা নিতে আসে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম যুক্ত হলেও বিগত চার বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়েছিল হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিনটি।

আশার কথা হচ্ছে প্রায় চার বছর পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অচল এমআরআই মেশিনটি আবারও সচল হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে সেবা পাবেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা।

তৎকালীন সরকারের সময় মন্ত্রণালয়ে বার বার চিঠি দিয়েও মেশিনটি সচলের কোনো উদ্যোগ না আসলেও পট পরিবর্তনের ৯ মাসের মাথায় সমাধান হলো এ সমস্যার।

মেশিনটি চালু হলে স্বল্প খরচে সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা। তৎকালীন সরকারের সময় মন্ত্রণালয়ে বার বার চিঠি দিয়েও মেশিনটি সচলের কোনো উদ্যোগ না আসলেও পট পরিবর্তনের ৯ মাসের মাথায় সমাধান হলো এ সমস্যার। মেশিনটি চালু হলে স্বল্প খরচে সেবা নিতে পারবেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রায় চার বছরে ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থাকা এমআরআই মেশিনটি মেরামত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (নিমিও অ্যান্ড টিসি) সরকারি প্রতিষ্ঠান। মেশিনটি মেরামতে খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে ‘হিটাচি ১.৫ টেসলা’ মডেলের জাপানি এই মেশিনটি। এটি স্থাপনের পর ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর চালু করা হয়। ২০২০ বছরের ২৮ অক্টোবর হঠাৎ যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়।

এতে বন্ধ হয়ে যায় রোগীদের সেবা কার্যক্রম। প্রায় সাত মাস পর ২০২১ সালের মে মাসে এটি মেরামত করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তবে মাস না যেতেই আবারও অকেজো হয়ে যায়। এতে চমেক হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যায় এমআরআই সেবা।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেওয়ার পর অবশেষে এমআরআই মেশিন সচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরইমধ্যে মেরামতের কাজ প্রায় শেষ। ব্যাটারির জন্য কাজ আটকে আছে। আমরা নিমিও অ্যান্ড টিসি’কে বলেছি ভালোমানের ব্যাটারি দেওয়ার জন্য। এ জন্য একটু অপেক্ষা করছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এমআরআই মেশিনটি সচল হবে। এদিকে মেশিনটি চালু হলে হাসপাতালেই ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় এ সেবা পাওয়া যাবে। যা বেসরকারি হাসপাতালে করতে গেলে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

প্রসঙ্গত, এমআরআই (ম্যাগনেটিক রিজনেন্স ইমেজিং) আধুনিক রোগ নির্ণয়কারী পরীক্ষা, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট রোগ বা অস্বাভাবিক অবস্থা খুঁজে বের করতে মানবশরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের খুব স্পষ্ট ছবি নেওয়া হয়। মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, জয়েন্ট (যেমন হাঁটু, কাঁধ, কব্জি ও গোড়ালি), পেট, স্তন, রক্তনালী, হার্ট এবং শরীরের অন্যান্য অংশের পরীক্ষার জন্য এমআরআই ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ মেশিনের দ্বারা পরীক্ষা করা অনেকের জন্য ব্যয়বহুল, চমেকের এ মেশিনটি চালু হলে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কম খরচে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মেশিন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত