সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চাঞ্চল্যকর পিকআপ ভ্যানচালক রাশেদুল ইসলামের (৪০) গলাকেটে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিককে ফাঁসাতে বন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সেলিম হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সে ওই উপজেলার আসানবাড়ী গ্রামের শামসুল হোসেনের ছেলে। জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ওসি (ডিবি) একরামুল হক ও তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান ও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তা আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত সেলিমের স্ত্রীর সাথে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের আওয়াল হোসেন নামের এক ব্যক্তি পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তার স্ত্রী প্রায় ২ মাস আগে আওয়ালের সাথে চলে যায়। এছাড়া তার শ্বাশুড়ির সাথে নিহত রাশিদুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় সেলিম ক্ষীপ্ত হয়ে আওয়ালকে ফাঁসাতে রাশেদুলকে খুনের পরিকল্পনা করে এবং শুক্রবার রাতে স্থানীয় চা স্টল থেকে মদ খাওয়ার কথা বলে রাশিদুলকে নিয়ে যায় এবং তাকে মদের ভিতরে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে রাশিদুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে উল্লিখিত স্থানে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
শনিবার সকালে পুলিশ তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের দিক নির্দেশনায় ডিবি পুলিশ ও তাড়াশ থানার পুলিশ যৌথ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। বিশেষ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রোববার রাতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেয়া তথ্য রক্তমাখা একটি ছুরি, ঘুমের ওষুধের ২ টি খালি বোতল, ১টি স্প্রীটের বোতল, ১টি ক্লেমনের বোতল উদ্ধার হয় এবং ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মানিব্যাগের ভিতরে আওয়াল নামে ব্যক্তির ১ কপি ছবি, এনআইডি ও ১টি মেমোরি পাওয়া যায়।
সোমবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় আদালতে এ হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
