ঢাকা শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্মার্ট ও বাণিজ্যিক কৃষির রূপান্তরে রংপুরে আঞ্চলিক কর্মশালা

স্মার্ট ও বাণিজ্যিক কৃষির রূপান্তরে রংপুরে আঞ্চলিক কর্মশালা

উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও স্মার্ট কৃষির রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে রংপুর কৃষি অঞ্চলের উদ্যোগে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যতম বৃহৎ কর্মসূচি "প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)" এর আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলার উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টনার প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ ড. গৌর গোবিন্দ দাস, সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ অশোক কুমার রায় প্রমুখ।

রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী জেলার কৃষি বিভাগসহ বিএডিসি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বীজ ডিলারসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭টি সংস্থা নির্ধারিত কার্যক্ষেত্রে কাজ করছে, যার মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লিড এজেন্সির দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি আরও ৮টি সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে অংশ নিচ্ছে।

এই প্রোগ্রামের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ৩ লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি; জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চফলনশীল নতুন ধানের ও ধান ছাড়া অন্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট ৪ লাখ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি; উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একলাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে 'কৃষক স্মার্টকার্ড' দেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষিসেবার সম্প্রসারণ।

এছাড়া ই-ভাউচারে দেওয়া হবে ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিযাল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ডিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালা সহ সৌর শক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা হবে।

প্রকল্পটি দেশের কৃষির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের কৃষি সেক্টরের বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এর কর্মপরিকল্পনা (২০২০) ও উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা ২০২০ বাস্তবায়নসহ এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এই প্রোগ্রামের কার্যক্রমের মাধ্যমে এদেশের কৃষক, কৃষিসেবা, কৃষি সমাজ এবং কৃষি ব্যবসা সর্বোপরি বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদ রূপান্তরিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশে।

কর্মশালা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত