সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জ উপজেলার ভূঞাগাঁতীতে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী ১ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টির অধিক বসত বাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না। অথচ ২’শ মিটার থেকে ৭’শ মিটারের মধ্যে ভূঞাগাঁতী, ইচলাদিগর ও ইচলাচান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, ৩টি মন্দির ও কয়েকটি গ্রামের বসত বাড়ি রয়েছে। ওই ইটভাটার ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়নি এবং বন্ধ হয়নি ইট পোড়ানোও। ভাটার কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ধুলোবালি কালো ধোঁয়া শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শ্বাস তন্ত্রে চলে যায়। এতে নানা রোগে শিশু-বৃদ্ধ মানুষ আক্রান্ত হয়।
ইচলাদিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুল মাদ্রাসা মন্দির থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই ইটভাটা গড়ে উঠল। অনুমোদনই বা পায় কি করে? এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম বলেন, ওই ভাটাসহ কালো তালিকাভুক্ত ইটভাটা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশনা রয়েছে। ইতিপূর্বে ৩টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। রায়গঞ্জে কালোতালিকাভুক্ত ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।