ঢাকা ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাঁচবিবিতে অবৈধ কারখানার ময়লা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ট গ্রামবাসী

পাঁচবিবিতে অবৈধ কারখানার ময়লা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ট গ্রামবাসী

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মরুব্বা কারখানার ময়লা পানির দুর্গন্ধে ঘর ছাড়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামবাসীর।

উপজেলার ভীমপুর আবাসিক এলাকায় গ্রামবাসী শতবার অভিযোগ করলেও আমলে নেই না কারখানার মালিক তাপস দাস।

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সরকারি অনুমতি ছাড়পত্র ছাড়ায় চালিয়ে আসছে এই মরুব্বা কারখানা। স্থানীয় শিশু-কিশোররা এই কারখানার শ্রমিক। শিশু-কিশোরা যখন লেখা-পড়া করবে, তখন এই কারখানার মালিক তাপস তাদের টাকার লোভ দেখি তার অল্প ব্যয়ে শ্রমিক জোগাড় করে নিয়েছেন। এই কারখানায় প্রায় ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক রয়েছে, তারা সবাই শিশু-কিশোর শ্রমিক।

অন্যদিকে কারখানার চারপাশে ঘনবসতি। কারখানার ময়লা দুর্গন্ধময় পানি আর আবর্জনা বসত বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আর তার দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হয়ে উঠছে। এতে করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ গ্রামবাসী। রাস্তা বা বাড়ির পাশ দিয়ে লোক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী স্থানীয় ইয়াসিন আরাফাত বলেন, এই মরুব্বা কারখানার ময়লা পানির দুর্গন্ধে এখানে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরের জানালা খোলা যায় না। দুর্গন্ধে আমার ছেলে-মেয়ের মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া আর বমি হয়ে থাকে। তাদের লেখা-পড়ায় মন বসছেনা। এই কারখানার দুর্গন্ধে আমাদের বসাবাসের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয় খালেক উদ্দিনের স্ত্রী বলেন, এতো দুর্গন্ধ এই কারখানার, আর থাকতে পারছি না। বাড়ির বাহিরে তো যাওয়া দুরের কথা বাড়ির ভিতরে থাকাও অসম্ভব।

স্থানীয় কালাম হোসেনের স্ত্রী বলেন,এই কারখানার অত্যাচারে আমাদের বাড়ি ছাড়তে হবে। কে শোনে কার কথা,এতো বলার পরও কারখানার মালিকের গায়ে কথা লাগে না। নিষেধ করলে ঐ মালিকের আবার বড় বড় কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নিকট আমাদের আকুল আবেদন, এইখানে একটা বসবাসের পরিবেশ তৈরি করে দেন। শিশুশ্রমিক কেন এবং কারখানার ময়লা দুর্গন্ধ পানি ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ দুষিত করছেন, জানতে চাইলে মরুব্বা কারখানা মালিক তাপস দাস বলেন, শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করা অপরাধ। ময়লা পানি বের হয়ে পরিবেশ দুষিত করছে,স্বাধীকার করে বলেছেন এগুলোর ব্যবস্থা নিবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ মরুব্বা কারখানার কোন বৈধ কাগজপাতি নেই। আবাসিক এলাকায় এরকম কারখানা তৈরি করতে পারে না। আমি অবশ্য এর একটা ব্যবস্থা নিবো। বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক জানান,আমি বিষয়টি নিয়ে ঐমরুব্বা কারখানার মালিকের সাথে কথা বলে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এবিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন জানান,ছাড়পত্র ছাড়া কেউ কারখানা তৈরি করতে পারবে না। পরিবেশ দুষিত করা অপরাধ। আমি বিষয়টি জানালাম এবং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঁচবিবি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত