ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুপ্রিম কোর্টে ফের আইনজীবীদের হাতাহাতি

সুপ্রিম কোর্টে ফের আইনজীবীদের হাতাহাতি

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়াও হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি, হট্টগোলসহ পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর দেড়টার পর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সভাপতি-সম্পাদককে ভোটচোর বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। তখন সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল তার কক্ষেই ছিলেন। সে সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে সম্পাদক দুলালের কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়। তখন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলে দাবি উভয় পক্ষের। এ ঘটনায় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা পরস্পরকে দায়ী করছে।

পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা নিচে নেমে ভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেন। তখন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বিএনপিপন্থীদের ব্যালট চোর বলে স্লোগান দেন।

হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামীপন্থী অন্তত পাঁচজন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলে দাবি সম্পাদক আবদুন নূর দুলালের। অন্যদিকে বিএনপিপন্থী ছয়জন আইনজীবী আহত বলে দাবি বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালের।

ঘটনার পর আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ও ভোট নিয়ে ক’দিন পরপরই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। গত দুই মাসেরও কম সময়ে এ নিয়ে তিনবার ঘটল এ ঘটনা।

গত ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিন আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সমিতি ভবনে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার আয়োজনে ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইফতার আয়োজনের ব্যানার, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। পরে ১০ এপ্রিল এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবী।

এরপর গত ৩ মে ফের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আতাউর রহমান নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহত হন। তিনি আওয়ামীপন্থী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত।

সুপ্রিম কোর্ট,বিএনপি,আইনজীবী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত