বিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধানও রাখা হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব জানান, বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। এই আইনের যে অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে একই আপরাধের জন্য পুরনো আইনে কোনও শাস্তির বিধান ছিল না। এ ছাড়া সরকারি বা ব্যাটালিয়নের সম্পদ চুরি, প্যারেডে অনুপস্থিত থাকা, বিনা নোটিশ অফিসে অনুপস্থিতর জন্যও আলাদা সাজার বিধান রাখা হয়ছে নতুন আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছোট অপরাধরে জন্য ডিজির নেতৃত্ব বিচার হবে এবং বড় অপরাধে প্রচলিত আইনে বিচার হবে।
গত বছর আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আইনে ৩৩টি ধারা রয়েছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো আনসার সদস্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা কোনো সংবাদপত্র বা কোথাও কোনো তথ্য প্রকাশ করা বা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। সরকারি কর্মচারীদের মতো তাদেরও শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী লঘু ও গুরুদণ্ড থাকবে। মামলায় আপিল করা যাবে।
ব্যাটালিয়নে কোনো সদস্যের অপরাধ সংগঠনের জন্য বিচারের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। দুটি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত থাকবে। একটা সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালত, আরেকটা বিশেষ আনসার আদালত।
খসড়া অনুযায়ী, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।