দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের আত্মসমর্পণ ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে আদালতে প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান দলটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা জজ আদালতে প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট দুর্নীতির মামলাটিতে আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের দণ্ডের রায় বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
জানা যায়, আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করবেন আমান। এছাড়া চিকিৎসা ও ডিভিশন চেয়েও আবেদন করবেন তিনি। মামলাটিতে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি।
আমানের আত্মসমর্পণ ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
আমানের আত্মসমর্পণ ঘিরে সকাল থেকে জজ কোর্টের সামনে জড়ো হন শত শত বিএনপি কর্মী। বেলা ১১টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর এসব নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
পরে পুলিশ সংঘর্ষ এড়াতে ও পরিস্থিতি শান্ত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।