গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার পর দুদক কার্যালয়ের মূল গেইট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় সঙ্গে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিস্টার খাজা তানভীরসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ড. ইউনূস দুদককে চিঠি দিয়ে ৫ অক্টোবর তাদের কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
জানা যায়, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ৫ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগ গত ৩০ মে মামলা করে দুদক।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস দেশের বাইরে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে ছিলেন। দুদকের নোটিশের বিষয়ে জানার পর গত ১ অক্টোবর দেশে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদককে চিঠি দিয়ে উনি জানিয়ে দিয়েছেন তাদের কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকার কথা।
গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়মের দায়ে ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার এখন চলমান।