ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ড. ইউনূসের মন্তব্য

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ড. ইউনূসের মন্তব্য

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুদকের ডাকে কার্যালয়ে হাজির হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট থেকে ১০টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত তাকে সংস্থাটির পরিচালক বেনজির আহমেদের নেতৃত্ব একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে তার কাছে কী জানতে চাওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে ড, ইউনূস বলেন, আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এরপর উপস্থিত সব সংবাদিকদের সালামও দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটা লিগ্যাল বিষয়। আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন।

চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আব্দুল আল মামুন শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা বলে দাবি করেন।

২৭ সেপ্টেম্বর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্যদসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাত ও মানিলন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ৫ অক্টোবর সাড়ে ১২টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানানো হলো।

দুদক জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হলে আইন ও বিধিমোতাবেক অনুসন্ধান করা হয়। এতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বোর্ড সদস্যগণের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়ায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন যথাক্রমে- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান; পরিচালক পারভিন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী; অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ; গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

দুদক,জিজ্ঞাসাবাদ,শেষ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত