জয়পুরহাট সদর উপজেলার নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্র (১৬) হত্যা মামলার রায়ে ১১ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, মোহাম্মদআলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, শান্তিনগর মহল্লার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে শাহী, একই মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন, নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জন পলাতক রয়েছে। তারা হলো- বেদিন, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় । সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে জখম করে রাস্তায় একটি আমগাছের নিচে ফেলে রেখে যায়। সেদিন রাতে মোয়াজ্জেমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।