পঞ্চদশ সংশোধনীর রিটে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটে পক্ষভুক্ত হতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামীকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে পক্ষভুক্ত করে আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এর ফলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে ইন্টারভেনর হতে আবেদন করে বিএনপি। দলটির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন সব বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তখন এটা সংসদে পাস করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার যে সরকার ব্যবস্থা চালুর জন্য রাজপথে ছিল তারাই ক্ষমতায় এসে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। তবে এই সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ফেরাতে বিএনপি প্রায় দেড় দশক ধরে রাজপথে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে এই মামলায় বিএনপি ইন্টারভেনর হয়ে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ চাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এছাড়াও জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।
আবা/এসআর/২৪