জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সেইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ-টু-আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিলের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হয়।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চে গতকাল রোববার শুনানি হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
গতকালের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল বক্তব্য দেন। এই মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেওয়া বক্তব্য আদালতে তুলে ধরে তিনি বলেন, উনার লিখিত এই বক্তব্য ছিল মাইলস্টোন।
দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান মামলার এজাহার, চার্জশিট ও আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষীদের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা (তহবিল) মুভ (স্থানান্তর) হয়েছে। তবে সুদে-আসলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয়ও হয়নি।
খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন সাক্ষ্য কোনো সাক্ষী আদালতে দেননি। সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিবেচনা না করেই আদালত একতরফাভাবে সাজার রায় দিয়েছেন। রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতেই তখন এই রায় দেয়া হয়। আইনগতভাবে এই রায় টিকতে পারে না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি করে এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর থেকে সাজা ১০ বছর বৃদ্ধি করে রায় দেয়া হয়।
আবা/এসআর/২৪