বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুইক রেন্টালের দায়মুক্তি আইন অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত মন্তব্য করেছেন যে, দায়মুক্তি দিয়ে তৈরি করা আইন অবৈধ এবং এককভাবে কোনো ব্যক্তির কাছে ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না, যা সংবিধানের পরিপন্থি।
তিনি আরো বলেন, কুইক রেন্টাল আইন ছিল একটি "লুটপাটের বিশেষ বিধান", যা বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও চুক্তির পুরো টাকা পেতে সুবিধা দিয়েছিল। ২০১০ সালের কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলেও কোম্পানিগুলো সম্পূর্ণ টাকা পেয়ে যেত, যা আইনগতভাবে লুটপাটকে সমর্থন করেছিল।
হাইকোর্ট সরকারের কাছে নির্দেশ দিয়েছে, যেন বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত চালু করা হয়, যাতে জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে পারে। এর পাশাপাশি, সরকার যদি চায়, তবে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।
এর আগে, কুইক রেন্টাল-সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।
আবা/এসআর/২৪