আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার ৫ দিন পর তার বাবা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া মামলায় ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) গভীর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন তার বাবা।
এছাড়া আদালত এলাকায় হামলার ঘটনায় খানে আলম নামে একজন বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধি এবং বিস্ফোরক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদালত এলাকার ঘটনায় শুক্রবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলাটি আমরা একেবারে যাচাই-বাছাই করে আসামি করেছি। এর আগে একই ঘটনায় আরও ৩টি মামলা হয়েছিল।
আলিফ হত্যার ৫ দিন পর হত্যা মামলা করলো নিহতের বাবা ও বড় ভাই। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছিল।
গত মঙ্গলবারের ওই সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা তিনটি করে। এ তিন মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গ্রেফতার ৩৮ জনের মধ্যে আইনজীবী হত্যায় ৯ জন জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুর পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তখন বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন।