ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুই আসামিকে বিচারিক আদালতের খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে এই আসামির বিষয়ে খালাসের রায় কেন বাতিল হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ১১ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাকে সাত বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।
গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন।
ওই দিন রায়ে মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দন্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দন্ড দেন। পরে গত ২০ ডিসেম্বর মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল দাখিল করে।
এই মামলায় এসকে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই শেষ হয় বিচারকাজ।
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সূত্র : বাসস