আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলেও তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করার কোনো সুযোগ সেই। আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, এখন কিন্তু কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সংগে সংগে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কোনো মামলা হলে আগে যাচাই-বাছাই হয়। এই আইন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৬৪ থেকে আমি খবরের কাগজ পড়ি। তখন আমার বয়স আট। তখন ক্রাইম রিপোর্টিং আলাদাভাবে ছিলো না। আগে আইনজীবীদের মধ্যেও এমনটি ছিলো। কিন্তু এখন আলাদা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, অপরাধের অনেক তথ্যই এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই দিচ্ছে সাংবাদিকরা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যতো টকশো হয়, এতো টক শো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। ফলে বাক-স্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে দেশে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে করনীয় কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেস্ট প্র্যাকটিস যাতে হয়, আইনের ক্ষমতা বলে বিধিতে সেসব রাখা যাবে যাতে আইনের অপব্যবহার না হয়।