মূল্যস্ফীতিই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি: ডব্লিউইএফের প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির প্রধান পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আরও যে চারটি ঝুঁকির খাত চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। সেগুলো হলো ঋণ সংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।

বাংলাদেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২২ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগস্টের এই মূল্যস্ফীতি গত ১১ বছর তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি। তবে পরের মাসে সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়। ওই দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে অল্প অল্প করে কমছে মূল্যস্ফীতি। যদিও তা এখনও অনেক বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতির বড় কারণ ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে আছে জ্বালানির উচ্চ মূল্য। শীতকাল শেষ হলে ইউরোপে জ্বালানির চাহিদা কিছুটা কমবে, কিন্তু তা এতটা কমবে না যে মূল্যস্ফীতি এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। তবে অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন ভালো অবস্থায় আছে। সারের সরবরাহ ঠিক থাকলে দেশি খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি হবে না।

বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে সব বৈশ্বিক সংস্থা বলছে, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির গতি আরও কমে যাবে। মন্দা না হলেও প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে মানুষের আয় কমে যাবে। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হারও একেবারে কমে যাবে না।