মূল্যস্ফীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে এই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। এটি মূল্যস্ফীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। 

তিনি বলেন,  এমনিতেই দ্রব্যমূল্য অনেক চড়া, এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ালে পণ্যমূল্য আরও বেড়ে যাবে। কেননা সবকিছুই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। যেকোনো পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে, সরবরাহ পর্যায়ে এবং খুচরা পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। তা ছাড়া কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, এতে কৃষিপণ্যেরও মূল্য বাড়বে। সর্বোপরি সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি।

তিনি বলেন, সরকার হয়তো বলবে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। তার জন্য মূল্য সমন্বয় করতে হবে। কিন্তু বিশ্ববাজারে যখন দাম কম থাকে, তখন কিন্তু দেশের মানুষ তার সুফলটি পান না- তখন কিন্তু দেশের বাজারে দাম কমানো হয় না। তখন যদি সমন্বয় করা হতো, তাহলে এখন এত দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো লাগত না।

সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিইআরসিকে পাস কাটিয়ে যদি সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে বিইআরসি রাখার দরকার কী। বিদ্যুৎ বা জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করার আগে সবসময় বিইআরসিতে শুনানি করা হয়। এখানে ভোক্তা থেকে শুরু করে সব পক্ষের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল। সবার মতামত নিয়ে তবেই বিইআরসি সিদ্ধান্ত নিত। এভাবে নির্বাহী আদেশে যদি দাম বাড়ানো হয়, তাহলে তো আস্থার জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।