ভারতে পোশাক রফতানি আরও বাড়াতে চান উদ্যোক্তারা
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন সংস্করণ
প্রতিবেশী দেশ ভারতে তৈরি পোশাক রফতানি আরও বাড়াতে চান এ খাতের উদ্যোক্তারা। এ লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার সাউদার্ন গুজরাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসজিসিসিআই) সভাপতি হিমাংশু এইচ. বোদাওয়ালার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
এ সময় বিজিএমইএ এবং এসজিসিসিআই বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য অংশীদারত্ব জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন নতুন সুযোগ অন্বেষণ এবং সেগুলো কাজে লাগাতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে কাছাকাছি আনার জন্য বিজিএমইএ এবং এসজিসিসিআই সম্ভাব্য কোন কোন সহযোগিতা প্রদান করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারক এবং ভারতীয় টেক্সটাইল প্রস্তুতকারক ও কাঁচামাল সরবরাহকারীদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর উপায়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন। তারা বলেন, যোগাযোগ নিবিড় হলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। তারা ডিজাইন, প্রযুক্তি, মেশিনারি, উৎপাদনশীলতা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, বিশেষ করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং ভারতীয় বিশ^বিদ্যালয়, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট ও এসজিসিসিআইর মতো বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে সংযুক্তকরণের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল ব্যবসায় বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের পরিপূরক হিসেবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ভ্যালু চেইনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পোশাক পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে নন-কটন এবং উচ্চ মূল্যের আইটেমগুলোর ওপর জোর দিয়েছে এবং ভারতের একটি শক্তিশালী টেক্সটাইল শিল্প রয়েছে, তাই ভারত ম্যান মেইড ফাইবার সরবরাহ করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অপরদিকে ভারতও বাংলাদেশি পোশাক রফতানির জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে রফতানি বেড়েছে, যা দুটি দেশের জন্যই সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
এসজিসিসিআই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনটির সচিব ভবেশ এম. টেইলর, কোষাধ্যক্ষ ভবেশ বল্লভভাই গাধিয়া, ওভারসিজ এক্সপোর চেয়ারম্যান আমিশ এইচ. শাহ, কো-চেয়ারম্যান হর্ষল ভগত এবং এসজিসিসিআইর বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিনতে জাহান।