বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭ হাজার ২০৫ কোটি টাকা) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ঋণ অনুমোদন দেওয়ায় সংস্থাটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশকে ২ দশমিক ২ শতাংশ সুদে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির ৩৫২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে। ২০২৬ সালে দেওয়া হবে এ ঋণের শেষ কিস্তি।
আইএমএফ বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা এ জন্য অবশ্যই আইএমএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আইএমএফের এই ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, অনেকেরই সন্দেহ ছিল, আইএমএফ হয়তো আমাদেরকে এ ঋণ দেবে না। কিন্তু আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো, এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়ে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া ওই বছরের ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। অক্টোবরের শেষের দিকে দুই সপ্তাহের সফরে ঢাকায় আসেন আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেন। ওই সময় আইএমএফের সঙ্গে ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল সরকার।