লিফট-এসকেলেটর আমদানি: অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকালেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) লিফট ও এসকেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ২৫.৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলিয়া আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে লিফট ও এসকেলেটরের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধন থেকেই এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, করোনা পরবর্তী গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তারপরও গত অর্থবছরে লিফটের ওপরে ৫ শতাংশ শুল্কবৃদ্ধি করাতে আমাদানিকারদের আরও বেগতিক অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং গত অর্থবছরে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা বিক্রয় পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট দিয়ে থাকি। সরকার লিফট উৎপাদনকারীদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ ঘোষণা করেছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক ও কর অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারীরা লিফটের যন্ত্রাংশে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক দেয়। উৎপাদনকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে জাহাজ ভাড়ার সুবিধা, আমদানি করের সুবিধা এবং সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট সুবিধায় সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানিকারকদের থেকে ২৫ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশিয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩৭-৪০ শতাংশ, যা খুবই অসম হচ্ছে।
বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্পের লিফট এবং এসকেলেটরের হাতে নেওয়া কার্যাদেশের বর্তমানে চলমান মূল্য প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার/ইউরোর মুদ্রার বিনিময় মূল্যের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায় ডলার/ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য এবং ১০০ শতাংশ মার্জিনে এলসি খুলতে এমনিতেই সরবরাহকারী/আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস। তার ওপর বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। এ শিল্পের সুরক্ষার্থে গত বৎসরের কার্যাদেশের ওপর পূর্বের বাজেটের নিয়মানুযায়ী শুল্ক/কর বহাল রাখতে সরকারের সুবিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।
মানববন্ধনে সংগঠনের সহঃসভাপতি আকতার জামিল ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার বিশ্বাসসহ প্রায় দুই শতাবধি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।