সারা বিশ্বের কমছে মূল্যস্ফীতি, বাংলাদেশে বাড়ছে
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাসে বাংলাদেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যাহা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। তবে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে নামে। এসময়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে, আগের মাসে অর্থাৎ মে মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটাই বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বাড়লেও ভারত ও নেপালসহ নানা দেশে মূল্যস্ফীতি কমছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, মিশর, জাপান, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাড়তি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও মালদ্বীপে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমছে।
বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক ওই হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে পাকিস্তানের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমলেও তা এখনো প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি (৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ)।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ-জুন সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ছিল জিম্বাবুয়েতে ৮০ শতাংশ। এরপর সবচেয়ে বেশি ছিল লেবাননে, সেখানে ছিল ৪৪ শতাংশ। মিশরে যা ছিল ৩০ দশমিক ১ শতাংশ।