ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য আন্ত-সীমান্ত বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: আইসিসি চেয়ার মিস গারজা

বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য আন্ত-সীমান্ত বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: আইসিসি চেয়ার মিস গারজা

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য আজকের অস্থির বিশ্বে আন্ত:সীমান্ত বাণিজ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এর চেয়ার মিস মারিয়া ফার্নান্ডা গারজা ১৬ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেল অনুষ্ঠিত আইসিসি বাংলাদেশ আয়োজিত সংবর্ধনার সময় এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন। গারজা বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তি-বর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছেন এবং বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকপাত করেছেন।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান গারজাকে ঢাকায় স্বাগত জানান এবং প্রত্যেকের জন্য, প্রতিদিন, সর্বত্র ব্যবসাযয়িক কাজ করার আইসিসির মিশনকে আন্ডারলাইন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধিতে আইসিসির প্রভাব এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলির সাথে এর পরামর্শমূলক অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বছর, আইসিসি বাংলাদেশ ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আইসিসি কোর্ট শতবর্ষ উদযাপন করে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য প্রচার, বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা, আইনি সংস্কার এবং আন্ত:সীমান্ত ব্যবসার মানদন্ডকে ফোকাস করে কেন্দ্রীভ’ত হয়েছে।

আইসিসিবি সভাপতি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ২০২৬ সালের মধ্যে একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হওয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে স্থানান্তর বিষয়ে উল্লেখ করেন। জনাব রহমান অবকাঠামো, জ্বালানি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ সংক্রান্ত রেগুলেটরী সংস্কার এর ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন গারজার বাংলাদেশ সফর আইসিসির মিশনকে তুলে ধরেছে, যেটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উদ্ভূত হয়েছিল, ”বৈশ্বিক উন্নতির জন্য ব্যবসায়ের শক্তিকে কাজে লাগানো”।

মিস গারজা আন্ত:সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, বিশেষ করে আজকের অনিশ্চিত বৈশ্বিক ল্যান্ডস্কেপে। তিনি বলেন আন্ত:সংযুক্ত বিশ্বের বিবেচনায় সাইবার নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা ছিল কেন্দ্রীয় থিম, বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা এবং বেসরকারী খাতের উদ্যোগ সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। তিনি জলবায়ু, পরিবেশ সংরক্ষণ, বৈশ্বিক নিয়ম এবং ডিজিটালাইজেশন সহ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সংস্কারে ওঈঈ-এর নেতৃস্থানীয় ভূমিকার উপর জোর দেন। তিনি ব্যবসায়ী স¤প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব এবং বৈশ্বিক নীতি গঠনে আইসিসির ভূমিকাকে তুলে ধরেন।

গারজা বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর দৃঢ়তা, ঐক্য এবং স্থিতিস্থাপকতার কথা স্বীকার করেন এবং বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশকে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তার সফর বাংলাদেশের অর্জন এবং সহনশীলতা উদযাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সহযোগিতা এবং ঐক্যের প্রতি আইসিসির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প এবং উন্নত ট্রাফিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি জাতিসংঘে স্বীকৃত একমাত্র বেসরকারি খাতের সংস্থা হিসেবে আইসিসির অনন্য মর্যাদাকে তুলে ধরেন। একটি সমৃদ্ধশালী কৃষি খাত এবং বেসরকারি খাতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গারজাকে স্বাগত জানিয়ে মেক্সিকোতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার বিষয়ে তাদের ফলপ্রসূ আলোচনা তুলে ধরেন। একটি মুক্ত-বাজার অর্থনীতির উন্নয়নে এবং জাতিসংঘ সহ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতায় আইসিসির ভূমিকার উল্লেখ করেন তিনি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের উপর বাণিজ্য মন্ত্রী জোর দেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে আইসিসি সদস্যদের গুরুত্ব এবং তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তাদের অবদানের উপর কথা তিনি তুলে ধরেন।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান আইসিসি গোবøাল চেয়ারম্যান মিস মারিয়া ফার্নান্দা গারজাকে একটি স্মারক উপহার দেন।

গারজা,আইসিসি,ধারাবাহিকতা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত