সারা দেশের সব পোশাক কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এজন্য সদস্যদের কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান এক বৈঠক করেন। বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শ্রমিক কারখানায় ঢুকে কাজ না করলে শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা। এ ছাড়া যেসব কারখানায় গত কয়েক দিনে ভাঙচুর হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষকে মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভাঙচুরের ছবি, সিসিটিভি ফুটেজের কপি থানায় দেয়ার পাশাপাশি বিজিএমইএকেও দিতে বলেছেন নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এরপর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত ভাঙচুর ও সহিংসতার অভিযোগে এ পর্যন্ত র্যাব ২৭ জনকে আটক করেছে। আন্দোলন চলাকালে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মারা গেছেন দুই জন শ্রমিক।