মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, টেকনাফ স্থলবন্দরে এলো ১২০ টন
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে অস্থির হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও খুচরা বাজারে বাড়তি দামে ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে দীর্ঘদিন। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার মিয়ানমার থেকে আনা যাচ্ছে পেঁয়াজ। টানা ৪২ দিন পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও শুকনা সুপারিবাহি ট্রলার এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৪২ দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ। তার জেরে রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৪২ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, মিয়ানমারে আরও ৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ওমর ফারুক আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ আরও ১৫ টাকা। এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়। বিকেলের মধ্যে পেঁয়াজগুলো খালাস করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ৪২ দিনে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।