ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়াতে মুদ্রানীতি ঘোষিত হবে আজ

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

টাকার মান আরও দামি ও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়ে সুদের হার আরও বাড়ানোর মাধ্যমে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জানুয়ারি-জুন) এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস অবস্থা, ঠিক তখন নতুন মুদ্রানীতিকে জনবান্ধব করাই সরকারের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের মুদ্রানীতিতেও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই নীতিতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি। এছাড়াও এবারের মুদ্রানীতিতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত নিয়ন্ত্রণে আনারও জোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৮ শতাংশে। আগামী জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তবে গত বছরের নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার কিছুটা বাজারভিত্তিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়িয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এদিকে তারল্য সংকট ও সুদহারের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ঋণাত্মক। গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতির প্রধান লক্ষ্যই থাকবে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনা। এবারের মুদ্রানীতিতে এটিই যে প্রাধান্য পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুল্যস্ফীতি কমানোর নানা উপায় আছে। তার মধ্যে মুদ্রানীতি দিয়ে একটা বড় ইম্পেক্ট আচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংককে যে ঋণ দেয় আর্থাৎ পালিসি রেটের সঙ্গে মুদ্রানীতি উঠা-নামা করে। আমাদের যে মানি মার্কেট সেটা যথেষ্ট টাইট না, যথেষ্ট লুজ আছে। প্রচুর টাকা বাজারে আছে। যার কারণে জিনিসপত্রের দাম কমানো যাচ্ছে না।। এই কারণেই আমার বিশ্বাস এবারের মুদ্রানীতিতে পলিসি রেট বাড়বে। তবে কত বাড়বে তা শেষ মুহূর্তে গভর্নর ঠিক করবেন। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় এবারের মুদ্রানীতি হবে সংকোচনমূলক। যার মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যগুলোর দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।