পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে বিদেশে দুদকের ৭১ চিঠি

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর এসব ইস্যুতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইইউর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আক্তার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়, সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত ২৭টি এমএলএআরের বিষয়ে জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। এর সঙ্গে পাচার করা অর্থের বিষয়ে যথাযথ তথ্য পরে জানাতে পারব। আজ আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গেও এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, মানি লন্ডারিং, পাচার হওয়া অর্থ কীভাবে ফেরত পেতে পারি, তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অর্থ পাচার হওয়া দেশগুলোর নাম তাদের কাছে তুলে ধরেছি।

এ বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধি দল জানায়, বৈঠকে দুদকের পক্ষ থেকে কীভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদককে কারিগরি সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকগুলোতে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছিল।

 

আবা/এসআর/২৪