ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেড়েই চলেছে ডিমের দাম, ডজন ১৭০ টাকা

বেড়েই চলেছে ডিমের দাম, ডজন ১৭০ টাকা

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম। বেড়েই চলেছে দাম। ছয় দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। বৃহস্পতিবার ডিমের ডজন ১৬০ টাকা থাকলেও বুধবার বেড়ে তা ১৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। অথচ বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা করে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও সেসব পাত্তাই যেন দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তারা বলছেন, ‘নিলে নেন, না নিলে সামনে হাঁটেন।’

বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল ও কাঁঠালবাগান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়; গত সপ্তাহেও যা ছিল ১৬০ টাকা। তবে বেশ কিছু জায়গায় ২-৩ টাকা কম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় ধরনের ডিমের দামই ডজনপ্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবশ্য একটু কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে ডিম। মঙ্গলবার দুই ধরনের ডিম বিক্রি হচ্ছিল ১৬৫ টাকায়। আজও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

তালতলা বাজারের ডিম বিক্রেতা শিমুল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। এ কারণে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়েও ডিমের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় কিনেছি। পরিবহন ও অবচয় খরচ যোগ করে প্রতিটি ১৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতি ডজনের দাম দাঁড়ায় ১৬৮ টাকা। তবে ভোক্তাদের অনেক ক্ষেত্রেই ১৭০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনতে হচ্ছে।

পণ্য বিক্রয়কারী সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ডিমের দাম ১৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাইয়ে ডিমের ডজন ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আগস্টে অপরিবর্তিত থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম বাড়তে থাকে। মাস শেষ হতেই তা ১৭০ টাকায় দাঁড়ায়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির ডিমের যৌক্তিক দাম ১৪২ টাকা ডজন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাজারে ওই মূল্যের চেয়ে ডজনে ২৩ থেকে ২৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

ভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিমের দাম নিয়ে ভোক্তা মহলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘ব্যর্থ’ বলেও সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, ডিমের বাজারে এখনও শক্ত একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। আওয়ামী লীগের পতন হলেও বর্তমান সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তা না হলে সরকার দাম নির্ধারণের ১৫ দিন চলে গেলেও কেন এখনও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না?

আরেক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের মতো যারা নিয়মিত মাছ মাংস খেতে পারে না, তাদের জন্য ডিমই ছিল ভরসা। এখন দেখি দিন দিন এর দামও বাড়তে শুরু করেছে। যে ডিমের দাম সর্বোচ্চ হওয়া উচিত ৩০/৩৫ টাকা হালি, সেটা এখন ৬০ টাকা। এগুলো দেখার কি কেউ আছে? কেউই নাই।

আবা/এসআর/২৪

ডিম,দাম
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত