আগামী ২ ডিসেম্বর শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে আর্থিক খাতের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগে পহেলা ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার হাতে শ্বেতপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ড. ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) আর্থিক খাতের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগের দিন আর্থিক খাত নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ও জ্বালানিখাতে বেশি লুটপাট হয়েছে। প্রতিবেদনে এসব তুলে ধরা হবে।
সরকারপক্ষ থেকে জানানো হয়, শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ, জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিফলন থাকবে।
প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটপাটের ফিরিস্তিতে বলা হয়েছ, গত ১৫ বছরে এই খাতে যে লুটপাট হয়েছ, তা দিয়ে তিন-চারটি পদ্মা সেতু করা যেত। সেই হিসাবে ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেই এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতির ক্ষত ও পরিস্থিতি পরিমাপ করতে একটি মূল্যায়ন কমিটি করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তিন মাস ধরে সরকার সচিব, ব্যবসায়ী, নাগরিকসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা, পর্যালোচনা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এবং যাচাই-বাছাই শেষে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
আবা/এসআর/২৪