সবজির বাজার ঠান্ডা, গরম পেঁয়াজ-মুরগি-চালে
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। ভরা মৌসুম হওয়ায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যেও কম দামে সবজি কিনতে পেরে কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম। চালের দাম আগের মতোই বেশি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজার, টাউন হল বাজার-সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও পটল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৫০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা ৪০-৫০ টাকায়।
প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায় আর পাইকারিতে ৪০-৫০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় কমছে সবজির দাম। কোনো কোনো সবজির দাম ওঠানামা করলেও সপ্তাহ ব্যবধানে বেশিরভাগেরই দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিন দশেক আগে যার দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। বাজারভেদে বর্তমানে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে এর দাম ৩০-৪০ টাকা কম ছিল।
অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারেও। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও-এর চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।
চাল বিক্রেতারা বলছেন, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। দাম বাড়ায় কমেছে চালের বেচাকেনাও। বাড়তি দামের প্রভাবে মানুষ চাল কম কিনছেন।
বাজারে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষই।