অনলাইন সংস্করণ
১৫:০৮, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
সম্প্রতি যেসব সেবা ও পণ্যের ভ্যাট, কর বাড়ানো হয়েছে, তা আগামী বাজেটে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ওএমএসের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হয়, যা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় লোকও উপভোগ করে। ওএমএসের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮ লাখ মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায় আপাতত এই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
বিশেষ ওএমএস বন্ধের পর বিকল্প কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এখনো কোনো বিকল্প পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তখন এ বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
চালের দাম কিছুটা কমলেও সাপ্লাই চেন ব্রোকারদের হাতে থাকায় কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চাল মোকামে থাকে, কিন্তু সরবরাহ ঠিকমতো আসে না। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা সাপ্লাই চেন ম্যানিপুলেট করছে।”
বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “সরকারের পর্যাপ্ত মজুদ না থাকলে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সারের আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম চালু করেছিল সরকার। এর আওতায় ৮ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি সুবিধা পেয়েছিলেন। এই কার্যক্রমে ৩০ টাকা দরে আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় পেঁয়াজ এবং ৫০ টাকায় লাউ বিক্রি করা হয়।
