বাংলাদেশকে দেয়া ৪৭০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় মার্চ পর্যন্ত পিছিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী ১২ মার্চ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আইএমএফের বোর্ড সভায় উঠতে পারে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি ওঠার কথা থাকলেও সভার নতুন তারিখ নির্ধারণ করায় তা পেছানো হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য ঋণ ছাড়ের বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় আলোচনার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বৈঠকটি স্থগিত করে নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের মাসব্যাপী কার্যক্রম বন্ধ থাকাকে সময়সূচি পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি পেতে বেশকিছু শর্ত রয়েছে। জুড়ে দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের শর্ত ও ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে সংস্থাটি। যদিও ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে এক কর্মকর্তা। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি ঋণ ছাড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি শর্তের ওপর জোর দিয়েছে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো- মার্কিন ডলার বিনিময় হারের সহজীকরণ, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করছে বলে জানা গেছে।
আরেকটি বিতর্কের বড় বিষয় হলো- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা।
আইএমএফ কর্মকর্তারা এসব লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এনবিআরের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ ইতোমধ্যে চলছে এবং তাদের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
আবা/এসআর/২৪