বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি তৈরি করে বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে পাচার করার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগদের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম। অভিযান শেষে এ অনিয়মের তথ্য সাংবাদিকদের জানান তারা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, নগদ বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করে বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে। অভিযানের সময় সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নগদ’ ৬০০ কোটি টাকার বেশি অনিয়মিত ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করেছে। এছাড়া ট্রাস্ট হিসাবের সঙ্গে ‘নগদ’ এর মূল হিসাবের গরমিল পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ডিজিটাল অর্থ লেনদেন প্ল্যাটফর্ম নগদ চালু করে। শুরুতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, সাবেক এমপি নাহিম রাজ্জাক, রাজি মোহাম্মদ ফকরুলসহ প্রভাবশালী চক্র এ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। খোকন তার স্ত্রী নূপুরের নামে ৫০০ শেয়ার নিয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তখন আইন বহির্ভূতভাবে নগদ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সংবাদ প্রচার করলে তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু প্রভাবশালী চক্রটি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছত্রছায়ায় এ ব্যবসা চালিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালানোর পর নগদের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আবা/এসআর/২৫