ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাকৃবিতে তোপের মুখে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, থামাতে গিয়ে শিক্ষক লাঞ্চিত

বাকৃবিতে তোপের মুখে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, থামাতে গিয়ে শিক্ষক লাঞ্চিত

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা শিক্ষাথীদের তোপের মুখে পড়েন। থামাতে গিয়ে তিন শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম একাংশের শিক্ষকরা। তবে বিষয়টিকে শিক্ষাথীদের অভ্যন্তরীন বিবাদের বহি:প্রকাশ বলে দাবী করেন সংশ্লিষ্টরা।

লাঞ্চিত দাবীকারী শিক্ষকরা হলেন- গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. পূর্বা ইসলাম, সহকারি প্রক্টর প্রফেসর আফরিনা মোস্তরিন, পপি খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকালে ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল ৪ এর সেমিস্টার ২ এর পরীক্ষা চলার সময় পরিক্ষা দিতে আসা আফতাব দূর্বার নামের একজন ছাত্রকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ ও তার লোকজন মারধর করে। এত বাধা দিতে গেলে তাদেরকে লাঞ্চিত করা হয় বলে জানান।

প্রফেসর ড.মনিরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করি। কারণ এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহমর্মিতা প্রকাশ বা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি এমএএম ইয়াহিয়া খন্দকার ও সহকারী প্রক্টর আফরিনা মুস্তারিসহ গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ মহির উদ্দিন জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে কোন আবেদন আসে। তবে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন বিভাগের শিক্ষাথী এম. এ ইউসুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা যদি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে আমাদের ভবিষ্যত ভালো হবে না। আফতাব দূর্বার নামে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংঘঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তার অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত হওয়া উচিত ।

তবে ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, আফতাব দূর্বার ছাত্রলীগের পদে থাকা কালীন সাধার নেতাকমীদের অনেক আত্যাচার করেছে। সাধারণ মেয়ে শিক্ষাথীরাও তার নির্যাতনে অতিষ্ট ছিলো। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাই সে পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে মারধর করতে যায়। তবে আমার উপস্থিতি কোন শিক্ষার্থী কোন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কতিপয় শিক্ষক শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। শিক্ষকদের একটি অংশ ভিসি মহোদয়কে অপসারনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে কারনে ছাত্রলীগ ও আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যাচার করে আসছেন।

এদিকে এঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদকে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব ৭দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে।

বাকৃবি,ছাত্রলীগ নেতা,শিক্ষক,লাঞ্চিত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত