জবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ২০:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  জবি সংবাদদাতা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক নারী শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে তদন্ত কমিটিকে অতিদ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেয়া হয়নি।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ এবং সহকারী প্রক্টর শাহনাজ পারভীন। 

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে চিঠি পেয়েছি। কালকে আমরা কমিটির সদস্যরা একটি মিটিং করবো। আর তদন্তে আমরা বিলম্ব করবো না। অতিদ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।

গত ১৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নারী কর্মী চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফসা বিনতে নূরকে তিন ঘন্টা কক্ষে আটকে নির্যাতন করে বলে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ঘটনার বর্ণনায় বলে ‘মঙ্গলবার রাতে বাইরে থেকে হলে ফেরার পরপরই অন্য কক্ষের আবাসিক ছাত্রী তন্নী আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পরে তার সাথে একটু কথা-কাটাকাটি হয়। পরে আমি আমার অন্য কক্ষের বান্ধবীদের নিয়ে নিচে আরকজন হাউজ টিউরটরের কাছে যাই। ততক্ষণে তিনি হল থেকে বের হয়ে গেছেন। পরে কক্ষে ফিরে আসার পর দেখি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত অন্য ৮-৯ জনেরও বেশি মেয়ে আমার রুমে বসে আছে। রুমে ঢুকার পরপরই তারা দরজা আটকে দেয়। আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’

তিনি আরও বলেন, এই সময় গালিগালাজের পাশাপাশি আমার গায়েও হাত তুলে। রিশাত নামের একটি মেয়ে (পরে আমি তার পরিচয় জেনেছি) আমার গায়ে হাত তুলে। তার সাথে আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে ১৩তম ব্যাচের নাজমুন নাহার স্বর্ণা পাটোয়ারী আমাকে বলে, “তোর কপাল ভালো যে আমার মেয়েরা এখনও তোর প্যান্ট খুলে নেয়নি।” পরে তারা আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক হেনস্তা করে। বিভিন্ন সময়ে আরও সেসব নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে রাখে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সহকারী হাউজ টিউটর মানসুরা বেগম ম্যাম আসেন। তার সামনেও তারা মাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি ঘটনার বর্ণনা দিতে চাইলেও ম্যাম আমার কথা শুনতে চায়নি। বরং আমাকে দিয়েই আরও  স্যরি বলায়।

এঘটনায় আমি মানসিভাবে খুব ভেঙ্গে পড়ি। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’