মসজিদ-মাদরাসা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের দান আয়করমুক্ত রাখার দাবি

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ২০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সব মসজিদ-মাদরাসা এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানসমূহে দাতাদের দান সম্পূর্ণভাবে আয়করমুক্ত রাখার আগের আইন চালু অথবা নতুন বিধি-বিধান প্রণয়ন করে তা কার্যকরের দাবি জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ।

একইসঙ্গে সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত দ্বীনি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব আইন ও বিধি-বিধান বাতিল বা সংশোধনের জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করেন কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী (পীর সাহেব দেওনা)। 

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা আশেকে মুস্তফা, মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহি হামিদী, মুফতি দ্বীন মুহাম্মদ আশরাফ, মাওলানা আবদুল বাতেন কাসেমী, মাওলানা কাজী মুঈনুদ্দীন আহমদ, মাওলানা মেরাজুল হক মাজহারী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হক হক্কানী, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ ফরহাদ, মাওলানা এনামুল হক আইয়ূবী, মুফতি নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবু তাসনীম উমাইর, এ্যাড. মতিউর রহমান, কারী আল আমীন ও মুফতি হেদায়াতুল্লাহসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক কওমি মাদরাসার মুহতামিম, মসজিদের ইমাম-খতিব ও ওয়ায়েজগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পীর সাহেব দেওনা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে দাতব্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের দান-অনুদান সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত। যেহেতু আমাদের দেশের মসজিদ-মাদরাসা এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় পরিচালিত হয়, এমতাবস্থায় দ্বীনি প্রতিষ্ঠানসমূহের দাতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে দান-খায়রাত করতে পারেন- এ জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় দান-অনুদান আয়করমুক্ত রাখার পূর্ববর্তী বিধানটি নবায়ন করে কার্যকর করা অতীব জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকদের মানন্নোয়নের স্বার্থে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন, সুশীল সমাজ শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়। এছাড়া মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম-উলামাদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার এবং কারাবন্দি আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়।

সেই সঙ্গে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুফতি ফয়জুল করিমের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন