ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সচেতন অভিভাবক সমাজ’র মানবন্ধন

নৈতিকতা ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি

নৈতিকতা ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি

নৈতিকতা ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন অভিভাবক সমাজ, বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বইয়ে কোমলমতি শিশুদের মেধা, শিক্ষা ও নৈতিকতা ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৯টি দাবী তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো- ১. শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। ২. নাম্বারভিত্তিক ২টা সাময়িক পরীক্ষাসহ বার্ষিক পরীক্ষা চালু করতে হবে। ঘনঘন কারিকুলাম পরিবর্তনের মাধ্যমে জাতীর মেরুদন্ডকে ধ্বংস করা যাবে না। ৩. নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় অথবা বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ রাখতে হবে। ৪. ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে। ৫. সকল সময়ে সকল শিখন, প্রোজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সকল প্রোজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রোজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে। ৭. প্রতি বছর, প্রতি ক্লাসে, নিবন্ধন ও সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে, এবং এসএসসি ও এইচএসসি ২টা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে। ৮. সকল সময়ে সকল শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে। এবং ৯. অন্যায়ভাবে এবং মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মিথ্যা মামলায় বন্দি অভিভাবক ও শিক্ষকদের মুক্তি দিতে হবে। সেই সাথে সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, নতুন ক্যারিকুলামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষার নামে যা শেখানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট ‘যৌন শিক্ষা’। এই যৌন শিক্ষা পাঠ বাতিল করতে হবে। তারা বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির একটা বাচ্চার বয়স কত হয়? ১১ থেকে ১৩ বছর হয়। এই বয়সে সব শিশু বয়ঃসন্ধিতে পৌছায় না। কিন্তু সেই বয়সেই এ ধরনের শিক্ষা বাচ্চার মনে ভয়ঙ্কর কু-প্রভাব ফেলতে পারে। অভিভাবকরা আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সমাজ, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটা কারিকুলাম এ বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর ফলে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরো পতনের সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের সন্তানের শিক্ষা ও জীবন আজ ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে। উপরুন্ত মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশের নিরীহ অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা অভিভাবকরা খুবই উদ্বিগ্ন।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- সচেতন অভিভাবক সমাজ, বাংলাদেশ এর সমন্বয়কারী মো: আবু মুসলিম বিন হাই, এডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলম, এডভোকেট মোঃ শফিক, এডভোকেট লতিফা সুলতানাসহ সচেতন অভিভাবক সমাজের সদস্যরা।

নৈতিকতা,কারিকুলাম,বাতিল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত