ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় ইন্টার্নশিপ নীতিমালা প্রয়োজন: রবি ভিসি

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় ইন্টার্নশিপ নীতিমালা প্রয়োজন: রবি ভিসি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবের অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার আয়োজিত ফ্রেশার্স রিসিপশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি পরিবর্তিত হয়ে এখন অনেকটাই নির্ভর করে উৎপাদন এবং সেবা শিল্পের উপর। এই ইন্ডাস্ট্রিগুলোর উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে উপযুক্ত জনসম্পদের সহজলভ্যতার ওপর। উৎপাদন শিল্প এবং সেবা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সুযোগ্য জনসম্পদ তৈরি ও সরবরাহ করতে পারলেই এ উন্নয়ন অর্থবহ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা প্রচলিত ধারায় ব্যবসায় শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তারা মেধাকে অনেকটাই শাণিত এবং ব্যবসায়ের তাত্বিকজ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। কিন্তু কর্মপোযোগী পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরার মতো পেশাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকে। তাদের বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানার্জনের পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমর্থ্য হচ্ছে না। এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদি গস্খাজুয়েটদের উপযুক্ত ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি। এটি দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ অনেকটাই কম এবং ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা আরো কঠিন। এতে অনেক শিক্ষার্থী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি ইন্টার্নশিপ করার সুযোগটি সৃষ্টি করা যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের প্রত্যেকেই পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় এবং এর বাধ্যবাধকতায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ সুবিধা নিশ্চিত হয়। তাহলে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী জনসম্পদ সৃষ্টি এবং সরবরাহ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নের জন্য যদি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন এবং বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে। যেভাবে শিক্ষার্থীরা বিজনেস ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের গড়ে তুলছেন তা প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে রাবি বিজনেস ক্লাবের অবদান তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাবির বিজনেস ক্লাবের সভাপতি পৃথ্বিরাজ প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ সৌম। অনুষ্ঠানে নবীন ছাত্রদের সম্মাননা স্মারক, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত