ছুটি বৈষম্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের অসন্তোষ

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

গতানুগতিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বাৎসরিক ছুটি একই হয়ে থাকলেও এবার ২০২৪ সালের ছুটির তালিকায় সাপ্তাহিক ছুটি বাদে মাধ্যমিকে রাখা হয়েছে ৭৬ দিন ও প্রাথমিকে রাখা হয়েছে ৬০ দিন। ছুটিতে এই বৈষম্য থাকায় এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, গ্রীষ্মকালীন এবং দুর্গাপূজার ছুটি মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে কিছুটা কমানোয় এ অমিল হয়েছে। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকরা অসন্তোষ জানিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষকেরা বলছেন, প্রাথমিকে বছরে ৬০ দিনের ছুটি। কিন্তু এ দিনগুলোতেও স্কুল বন্ধ থাকে না। দিবসভিত্তিক যেসব ছুটি রয়েছে, সেসব দিনে স্কুলে যেতে হয়। অন্যান্য ছুটির সময় প্রশিক্ষণ, খাতা দেখা ও সরকারি নানা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হয়। আবার মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে অনেক। একই শিক্ষক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ক্লাস নেন। তাহলে কি তারা মাধ্যমিক ছুটি দিয়ে প্রাথমিক খোলা রাখবে- এমন প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষকদের।

সূত্র জানায়, চলতি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। এ বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এই নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায়ও বাৎসরিক ছুটি ৭৬ দিন রাখার কথা বলা হয়েছে। আর সাপ্তাহিক ছুটি হবে দু’দিন। অর্থাৎ বছরে মোট সাপ্তাহিক ছুটি ১০৪ দিন ও বার্ষিক ছুটি ৭৬ দিন মিলে মোট ছুটি দাঁড়াবে ১৮০ দিন। আর কর্মদিবস হিসেবে ১৮৫ দিন রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে পাঁচটি জাতীয় দিবসকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মদিবস হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, শিক্ষার ভিতটা প্রাথমিক থেকে শিখে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে যায়। বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের হাতে ধরে শেখাতে হয়। ফলে প্রাথমিকে শিখন ঘণ্টা বেশি দরকার। এজন্য ছুটি কিছুটা কম রেখেছি আমরা।

অন্যদিকে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জানান, ‘আমরা একটি রূপরেখা দিলেও শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করবে স্ব স্ব অধিদপ্তর। আমরা বাৎসরিক ছুটি ৭৬ দিন রেখেছি। এখন এর বেশি ছুটি দিলে সমস্যা। তবে ছুটি যদি কম রাখে তাহলে তো ক্ষতি নেই।’