আইনের বাইরে গিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয় : বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে বুয়েট প্রশাসন সহমত পোষণ করে। কিন্তু কারো পক্ষেই আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুয়েট প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন উপাচার্য।

বুয়েট উপাচার্য বলেন, জোর করলে হবে না, তদন্তের সুপারিশ দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। উপাচার্য শুধু হল থেকে বহিষ্কার করতে পারে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেবে একাডেমিক কাউন্সিল।

তিনি আরও বলেন, আজ অনেক বিভাগের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় সেখানে তাদের অনুপস্থিত দেখানো হবে। নিয়ম মতো রিটেক হয়ে যাবে। তবে পুনরায় পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে, একাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে।

মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব যে কেন তিনি ঢুকতে দিলেন। তার তো ঢুকতে দেওয়া উচিত হয়নি। গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অমানবিক বা অনিয়মতান্ত্রিক। কে ঢুকেছে, তাকে তো আগে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত না করে তো শাস্তি দেওয়া যাবে না। তার জন্য সময় প্রয়োজন। যদি কোনো নিরাপত্তারক্ষী বহিরাগত ব্যক্তিদের ঢুকতে দিয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকেই ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন সমাপ্ত করেন তারা। তবে দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামীকাল সকালে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করা হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন।