ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট 

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সহযোগিতা না করা এবং শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচির দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বন্যা দুর্গত এলাকায় সহযোগিতা করার জন্য সবাই মিলে টাকা উঠাচ্ছিল। এসময় একজন দোকানদার তাদের চ্যালেঞ্জ করে কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে। তখন কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ওরা তার কলেজের শিক্ষার্থী না, তারা চাঁদাবাজ, তাদেরকে পুলিশে দেওয়ার জন্য জানান তিনি। যদিও শিক্ষার্থীদের গলায় ওই কলেজের কার্ড ঝুলানো ছিল।

তারা জানায়, অধ্যক্ষ অস্বীকার করার পর তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হোস্টেল সুপার ফোন করে দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে কলেজের সব শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।

শিক্ষার্থী মুশফিক সরওয়ার বলেন, আমার বাড়ি থেকেও বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। মানবিক কাজে সাড়া দেয়ার লক্ষ্যে বন্যায় কষ্ট পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দোকানে দোকানে অর্থ সহায়তা নিতে গিয়েছিল। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা সহায়তা দিয়েছেন। যারা দিতে চাননি তাদের জোর করা হয়নি। এসময় একজন দোকানদারের কথায় অধ্যক্ষের এমন আচরণ মেনে নেয়ার মতো না। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের হল সুপার কামাল উদ্দিন বলেন, বন্যা কবলিত লোকদের জন্য আমাদের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা টাকা উঠাতে গিয়েছে। আমি তাদেরকে বলেছি বেশি দূরে না যেতে। তারা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনায় গেলে এক হোটেল মালিকের তাদের টাকা উত্তোলনকে সন্দেহ করলে আমাকে ফোন দেয়। পরে আমি তাদেরকে ওই লোকের সাথে কথা বলে ছাড়িয়ে আনি।

বাঞ্ছারামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হোমনায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় টাকা তুলতে গিয়েছে বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আমার ইনস্টিটিউটে অনেক শিক্ষার্থী এদের মধ্যে দুই চারজনের নাম বলায় আমি তাদেরকে চিন্তে পারিনি। তাই আমি বলেছিলাম আমি তাদেরকে চিনিনা। পরে বিষয়টি আমাকে আমাদের হল সুপার কামাল সাহেব জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা ওখানে গিয়েছিল।

শিক্ষার্থী,বাঞ্ছারামপুর,কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত