চুয়েটের নতুন ভাইস চ্যান্সেলর এর সঙ্গে চুয়েট পরিবারের শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া চুয়েট পরিবারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (৩১ই অক্টোবর) ১২ টায় থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকাল ৩ টায় একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে সকল ডীন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং অফিস প্রধানগণের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মত বিনিময়কালে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, আমি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বীর শহীদদের প্রতি। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি এই আন্দোলনে হতাহতদের, আত্মত্যাগকারীদের। এই নতুন বাংলাদেশ যাদের অবদানে পেয়েছি তাদের অবদান আমরা কখনো ভুলবো না। একটি বৈষম্যহীন, সুন্দর পরিবার হিসেবে আমরা চুয়েট-কে এগিয়ে নিতে চাই।

বিশেষভাবে, শিক্ষা-গবেষণায় চুয়েটকে বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। বৈষম্যমুক্ত ও যৌক্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে সকলের সহযোগিতায় আমি এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আমার বিশ্বাস, সকলে মিলেমিশে কাজ করলে তা মোটেই অসম্ভব নয়। আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি বিষয় সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে নিতে চাই। এই দুটির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের দাবিও রয়েছে। প্রথমটি হলো- বিশ্বমানের শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটকে গড়ে তোলা। এজন্য গঠনমূলক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয়টি হলো-ছাত্র সংসদ গঠনের উদ্যোগ নেয়া। ছাত্র সংসদ থাকলে আরো বিবিধ উন্নয়ন-অগ্রগতি আসতে পারে। সকলে একমত থাকলে এবং সহযোগিতা করলে এই দুটি কাজ দ্রæত সম্পাদন করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি যোগায় এবং নতুন পথ প্রদর্শন করে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কারণে আমরা আজ একটি নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে পারছি।

আমরা আশাকরি, শহীদদের রক্তভেজা এই বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার সুনিশ্চিত হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমরা একটি নিরাপদ, নিরপেক্ষ, রাজনীতিমুক্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসের জন্য চেষ্টা করে যাবো, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন হবে-এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।