আগামী বছরের (২০২৫) জানুয়ারি মাস থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটি প্রক্রিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার তালিকাভুক্তি বা এমপিওভুক্তি এবং উচ্চতর গ্রেড, বিএড স্কেলসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আবেদনের সময় পুনর্নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১২ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে সভা করে জানুয়ারি থেকে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ইএফটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের টার্গেট। এ জন্য শিক্ষকদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি টেকনিক্যাল প্রক্রিয়া। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে তথ্য সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ শেষে তা আইবাস প্লাস প্লাস প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা গেলে আমরা জানুয়ারি থেকেই ইএফটিতে তাদের এমপিও দেয়া হবে।
সরকারি কর্মচারীরা ইএফটিতে বেতন-ভাতা পান। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে অনেকটা ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়।
ব্যাংকগুলো মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে। বিগত সময়ে এক ঈদের উৎসব ভাতা আরেক ঈদে পাওয়ার মত ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার সিংহভাগ পরিচালনা করা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। ফলে শিক্ষকরাও সরকারি কর্মীদের মত মাসের শুরুতে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আবা/এসআর/২৪