ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর সন্ত্রাসী আগ্রাসন ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় ফিলিস্তিনি জনতার মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানায় তারা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য করো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’, ‘ইসরায়েল ইসরায়েল, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী’,বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলমান ভাই-বোন ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মুসলমান হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। আমরা আজ লজ্জিত। আজ বিশ্বের মুসলিমরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। আর এই বিভক্তির সুযোগে একের পর এক মুসলিম ভাইকে হত্যা করা হচ্ছে। তারপরেও মুসলমানদের এমন অবস্থা হয়েছে গাজায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পরও তাদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে না। তাই মুসলমানদের আর বিভক্ত থাকার দিন নেই। পুরো মুসলিম জাতি যদি এক হয়ে হুংকার দেওয়া যায় তাহলে শুধু নেতানিয়াহু নয় পুরো ইসলাম বিরোধী শক্তির মসনদ ভেঙে যাবে। বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। সেই সাথে ইজরাইলের সাথে সংযুক্ত সকল কোম্পানির পণ্য বয়কট করুন। আমাদের টাকায় তারা অস্ত্র কিনে সেগুলো দিয়ে আমাদের উপরেই হত্যাযজ্ঞ চালায়। সকল দোকান থেকে ইসরায়েলি পণ্য সরিয়ে ফেলুন। এটাই আমাদের অবস্থান থেকে আমাদের প্রতিবাদ।
তারা আরো বলেন, বিশ্ব মানবতার ঝান্ডাধারীরা আজ নিশ্চুপ। তারা আজ ইসরায়েলি বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুরা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা মানবাধিকারের কথা বলে শুধু মুখে ফেনা তোলেন অথচ কার্যক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই। আরব বিশ্বও আজ ফিলিস্তিনের পাশে নেই। ওআইসির কথা মুখে নিতেও আজ আমাদের লজ্জা হয়। ওআইসি গঠিত হয়েছিল মুসলামনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু আজ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর হামলার পরও তারা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। আজ আমরা বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।