গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তিনি জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করে এবং অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।
এসময় তিনি আরো বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু দুষ্কৃতিকারী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অথচ এই ঘটনা আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে সমাধান হয়েছিলো। তারপরও এমন ঘটনা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু তার এই হত্যার প্রতিবাদ কাউকে করতে দেখিনি। অথচ কিছু মানুষ দেশে ছোট কোনো ঘটনা ঘটলেও আন্দোলনের ডাক দেয়। কিন্তু আজ তারা নিশ্চুপ। আমরা ৫ আগস্টের পর নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। একটি পরিবর্তিত রাজনীতি চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটবে তা আমরা কখনো ভাবিনি। এখনো দেশের প্রতিটি জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। তাদের পদ থেকে বাদ দেও হচ্ছে না। যার ফলে এমন ঘটনা আমাদের দেখতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটির আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, রাকিব হোসেন সাক্ষর, উল্লাস মাহমুদ, মুক্তাদির রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, কিছু মানুষ একসময় ছাত্র রাজনীতিকে ঘৃণা করতো কিন্তু তারাই এখন বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। সেইরকম এক গ্রুপ পারভেজকে হত্যা করেছে। আমরা পারভেজ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অতি দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।
এসময় সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি যে নতুন বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটবে। ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন ধারার রাজনীতি। কিন্তু আজকে এই নতুন বাংলাদেশে পারভেজ হত্যার জন্য আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। আমরা এই দেশে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। মানুষ নিরাপদে দেশে থাকবে। সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমরা এই ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।