খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনে বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশনে বসেন তিনি। এসময় তার সাথে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেয়।
এর আগে, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অনশনে বসার ঘোষণা দেয় সুইট। ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন ‘কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে আমরা বলেছিলাম কুয়েট ভিসি তার পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। তারপরে লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও এর আসু সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়েছে কুয়েট প্রশাসন। তারপরে জল অনেক গড়িয়েছে, বর্তমান সময়ে বলছি সকালের মধ্যে কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ না করা হলে আমি কুয়েটের অনশনকারী সহযোদ্ধাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে আজ অনশনে বসবো’
অনশনরত অবস্থায় এস এম সুইট বলেন, কুয়েটের ভিসি যে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিলো তার প্রতিবাদে আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি। এর প্রতিবাদে আমাদের কুয়েটের ভাইয়েরা অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পৌঁছালেও তিনি পদত্যাগ করেননি। আমরা আমাদের ভাইদের এই কর্মসূচির সাথে সংহতি জানাচ্ছি। এই ভিসি যতক্ষণ না পদত্যাগ করবেন আমাদের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ১০ এপ্রিল কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার পরপরই সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।