হ্যালো গডফাদারস আই ওয়ান্ট টু নো ইউ: শরিফুল রাজ
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে জনসম্মুখে এতদিন ‘বাড়াবাড়ি’ যা করেছেন, সেটা পরী একাই। নায়িকার সঙ্গে হাত কচলাকচলির অভিযোগ থেকে স্ত্রীকে (পরী) মেরে রক্তাক্ত করার ছবি, সংসার জীবন থেকে ছুটি; প্রায় সবই উঠে এসেছে পরীমণির ফেসবুক টাইমলাইনে।
এসব পোস্টের বিপরীতে পরীমণি বেশ সমীহ কুড়িয়েছেন আমজনতার। ফলে ‘খারাপ স্বামী’ হিসেবে অভিযোগের রায় ঝুঁকে ছিল শরিফুল রাজের দিকে। তবে এত সব গণসিদ্ধান্ত-যুক্তি-তর্ক ছাপিয়ে নায়ক রাজ বরাবরই ছিলেন চুপ। সেটির জন্যেও রাজ খানিক পজিটিভ পয়েন্ট কুড়িয়েছেন ‘ভদ্র ছেলে’ হিসেবে!
তবে ২ জানুয়ারি অস্ফুটস্বরে গণমাধ্যমে রাজ এটুকু জানান, ‘মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে এখন। পরী এখন যা করছে বা তার যা মন চায় করুক। তবে এটুকু স্পষ্ট করি, আমি কোনও ভুল করিনি। এবং আমাদের আর এক হওয়া হবে না।’
মুখে এমন বক্তব্য দিলেও শরিফুল রাজের ফেসবুক কাভারে এখনও জায়গা করে আছে পরীর সঙ্গে রোমান্টিক একটি ছবি। নামাননি সেটি। অনুমান করা যায়, স্ত্রী ও পুত্র রাজ্যর জন্য রাজের টানটা এখনও জারি আছে।
পরীমণি২ জানুয়ারি (সোমবার) দিনে গণমাধ্যমে দেওয়া রাজের ‘এক না হওয়ার’ আভাসের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত পরীর অংশ থেকে ভালো আসেনি। তা না হলে এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোররাতে রাজ কেন খুঁজতে যাবেন ‘গড ফাদার’দের!
সোমবার দিন-রাত পেরিয়ে (৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটের দিকে শরিফুল রাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম একটি পোস্ট করেন। যেখানে প্রথমবার প্রকাশ করেছেন পরীকে নিয়ে তার নেতিবাচক অস্থিরতার বিষয়। সোশাল হ্যান্ডেলে যেমনটা আগে প্রকাশ করেননি তিনি।
রাজ তার এই ছোট ও অর্থবহ পোস্টে লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লিভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’
শরিফুল রাজ ও পরীমণিরাজের পোস্টে এটুকু স্পষ্ট, তিনি গতরাতে বা তারও আগে আড়াল থেকে কোনও ‘গডফাদার’র কাছ থেকে পরীমণির পক্ষ হয়ে হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন নিয়মিত। এবং অবশ্যই সেই উড়ো হুমকিদাতাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চান ‘পরাণ’ নায়ক।
৩১ ডিসেম্বর থেকে টানা তিন দিন স্বামী নায়ক রাজের বিরুদ্ধে পরীমণি একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তার ফেসবুক দেয়ালে। বছরের প্রথম দিন অভিযোগ করলেন, রাজ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। তাকে একাধিকবার মারধর করেছেন। এমন বয়ান দিয়ে ফেসবুকে রক্তমাখা বিছানার ছবিও প্রকাশ করেছেন।
রাজ-পরীর এমন ধারাবাহিক রক্তারক্তির খবরে দুই বাংলার গণমাধ্যম ও সোশাল হ্যান্ডেল সরগরম থাকলেও চলচ্চিত্র মুরুব্বিরা যথারীতি দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
২০২১ সালে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় পরীমণি ও শরিফুলের রাজের। প্রথম দেখা হওয়ার মাত্র সাত দিনের মাথায় বিয়ে করেছিলেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তারা পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। একই বছরের ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের মা হন পরী। যার
পরীমণি