পাকিস্তানের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, দাবি গায়ক অভিজিতের
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
একের পর এক সুপারহিট গান তাঁর ঝুলিতে। বাংলার ছেলে অভিজিৎ ভট্টাচার্য, বলিউড থেকে টলিউড নানা স্বাদের গানে বারবার মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের। তবে গানের পাশাপাশি বরাবরই তিনি স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। শিল্পীর কথায়, আরডি বর্মণ মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।তিনি মহাত্মা গান্ধীকে ভারতের নয়, বরং পাকিস্তানের ‘জাতির জনক’ বলেও উল্লেখ করেছেন।তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এ সংগীতশিল্পী আরও বলেন, পঞ্চম দা মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে বড় ছিলেন। তিনি ছিলেন সংগীতের রাষ্ট্রপিতা। আর মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জাতির পিতা ছিলেন, ভারতের নয়। ভারত সবসময়ই ছিল। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে। ভুল করে মহাত্মা গান্ধীকে আমাদের জাতির জনক বলি।
অভিজিৎ ভট্টাচার্য কিংবদন্তি সংগীত রচয়িতা আরডি বর্মণের মাধ্যমে হিন্দি সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তবে দুজনের প্রথম আলাপ একটি বাংলা সিনেমায় কাজ করার সময়। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে আর ডি বর্মণের সঙ্গে গায়ক হিসাবে স্টেজ শোতে পারফর্ম করতেন অভিজিৎ। পরে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, বিজয় আনন্দ, আমির খান, শাহরুখ খান, সালমান খান, সাইফ আলি খান, সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দা, অক্ষয় খান্না, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, অজয় দেবগনসহ অসংখ্য বলিউড অভিনেতার জন্য গেয়েছেন।
১৯৯২ সালে অভিজিতের প্রথম সাফল্য আসে হিট সিনেমা খিলাড়ির মাধ্যমে, যেখানে তিনি যতীন-ললিত রচিত ওয়াদা রাহা সনম, খুদ কো কেয়া সমঝতি হ্যায় এবং কেয়া খবর থি জানাবের মতো স্মরণীয় গান গেয়েছিলেন। সেই থেকে একের পর এক হিট দিয়ে গান গেয়েছেন। যদিও এখন তার বাজার মন্দা। সেভাবে প্লেব্যাকের সুযোগ আসে না বলিউড থেকে, যা নিয়ে প্রায়শই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।